◍ ১. তাকওয়া-পরহেজগারিতা ও আল্লাহর ভীতি অর্জন। আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া (পরহেজগারিতা ও আল্লাহভীতি) অর্জন করতে পার।” (সূরা বাক্বারা: ১৮৩)
◍ ২. সিয়াম বান্দা ও মাবুদের মাঝে গোপন ইবাদত। এ ইবাদতের মাধ্যমে বান্দার ঈমান অভূতপূর্ব শক্তি সঞ্চিত হয়। বিভিন্ন ধরণের লোভনীয় ও আকর্ষণীয় বস্তু ও বিষয়াদিকে ফজরের পূর্বে থেকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত বর্জন করে থাকা এবং গোপন ও প্রকাশ্য কোন অবস্থাতে এগুলোর ধারে-কাছে না যাওয়া প্রমাণ করে যে, সে সর্বাবস্থায় আল্লাহকে দৃষ্টি ও পর্যবেক্ষণকে সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
◍ ৩. নিজের আত্মাকে পবিত্র করা। একজন মুসলিম সিয়ামের মাধ্যমে নিজের চরিত্রকে সুন্দর করতে পারে, মন্দ স্বভাব ও খারাপ আচার-আচরণ থেকে পবিত্র করতে পারে। কেননা সিয়াম মানুষের শরীরে শয়তানের চলাচলকে সংকীর্ণ ও সীমিত করে দেয়া।
◍ ৪. সিয়াম বান্দাকে আখিরাত মুখী করে। দুনিয়ার ভোগ-বিলাস থেকে মুক্ত হয়ে আখিরাতের পুরস্কারের আশাবাদী হয়।
◍ ৫. সিয়াম বান্দার জন্য মাবুদের আনুগত্য ও তাঁর বিধানের নিকট আত্মসমর্পণ করার সাফল্য জনক ট্রেনিং। আল্লাহ রাতে পানাহার ও স্ত্রী সহবাস করার অনুমতি দিয়েছেন তাই সে তা করে। আর ফজর উদিত হওয়ার সাথে সাথে ওসব থেকে ক্ষান্ত হয়ে সূর্য ডুবা পর্যন্ত বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তাই তা থেকে বিরত থাকে।
◍ ৬. সিয়াম সামাজিকতার প্রশিক্ষণ দেয়। সিয়াম পালনকারী যখন দেখে যে, তার আশে পাশের সকলেই সিয়াম সাধনায় রত, তখন তার জন্য সিয়াম হালকা মনে হবে এবং সমাজে ঐক্যের এক মনোরম পরিবেশ অনুভব করবে।
◍ ৭. ধনী শ্রেণীর লোকেরা এ মাসে রোজার মাধ্যমে ক্ষুৎপিপাসার যন্ত্রণা অনুভব করলে, ফকির-মিসকিনদের অবস্থা বুঝবে ও তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়াবে।
উৎস: সিয়াম কোর্স সিলেবাস
অনুবাদ ও গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহ আল কাফী বিন আব্দুল জলীল
সম্পাদনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
Leave a Reply