রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন

শবে কদরের বিশেষ দুআ এবং তা কখন কিভাবে পড়তে হয়?
Abdul Hadi Bin Adbul Jalil Madani / ১৯৯ কত বার
আপডেট: মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১
প্রশ্ন: শবে কদরের বিশেষ দুআ এবং তা কখন কিভাবে পড়তে হয়?
(সাথে একটি জরুরি জ্ঞাতব্য)
▬▬▬▬◆◈◆ ▬▬▬▬
উত্তর:
শবে কদর/লাইলাতুল কদরে রাত জেগে অধিক পরিমাণে নফল সালাত, কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার, দ্বীনী ইলম চর্চা সহ বিভিন্ন ধরণের ইবাদত-বন্দেগীর পাশাপাশি বেশি বেশি দুআ করা উত্তম কাজ। আর সে সব দুআর মধ্যে নিম্নোক্ত দুআটি অধিক পরিমাণে পাঠ করা উচিৎ যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মা আয়েশা রা. কে শিখিয়েছিলেন।
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দুয়াটি পাঠ করব? তিনি বললেন, তুমি বলবে,
اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী।
“হে আল্লাহ, আপনি মার্জনাকারী। আপনি মার্জনা করা পছন্দ করেন। অত:এব আপনি আমাকে মার্জনা করুন।” (সহিহ ইবনে মাজাহ, হা/৩১১৯, সহিহুল জামে, হা/৪৪২৩,-শাইখ আলবানী, তাখরিজুল মুসনাদ (মুসনাদে আহমদ)-হা/২৫৪৯৫-শুআইব আরবানুত প্রমূখ)
⛔ জরুরি জ্ঞাতব্য:
সুনানে তিরমিযীর বর্ণনায়, عفُوٌّ ‘আফুউন শব্দের পরে كريمٌ কারীম’ শব্দটি রয়েছে। আর তিরমিযীর বরাতে অনেক আলেম (যেমন: ইমাম নওবী, ইবনে তাইমিয়া, ইবনে হাজার, ইবনুল কাইয়েম, ইবনে কাসির প্রমুখ মনিষীগণ) তাদের গ্রন্থে এভাবেই বর্ণনা করেছেন। এমনকি শাইখ আলবানী রহ. প্রথম পর্যায়ে এটিকে সহিহ বলেছিলেন। কিন্তু তার পরবর্তী গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ‘কারীম’ শব্দটির কোন ভিত্তি নাই। তাই তিনি মত পরিবর্তন করেছেন।
তিনি বলন:
(تنبيه): وقع في سنن الترمذي بعد قوله: “عفو” زيادة: “كريم” ولا أصل لها في شيء من المصادر المتقدمة، ولا في غيرها ممن نقل عنها، فالظاهر أنها مدرجة من بعض الناسخين أو الطابعين
“সতর্ক বাণী:
সুনানে তিরমিযীতে عفو (আফুউন) শব্দের পরে كريم (কারীম) শব্দটি এসেছে। কিন্তু পূর্ববর্তী কোন হাদিসের মূল উৎসগ্রন্থ বা সেগুলো থেকে যে সব কিতাবে তা নকল করা হয়েছে সেগুলোতে এর কোনই ভিত্তি পাওয়া যায় না। সুতরাং এটি স্পষ্ট হয় যে, যারা তিরমিযীর হাদিস নুসখা (কপি) করেছে বা মুদ্রণ করেছে তাদের কারো পক্ষ থেকে এ শব্দটি সংযোজিত।” (সিলসিলা সাহীহাহ)
আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন।
🔹 এ দুআটি কখন কিভাবে পাঠ করতে হয়?
উক্ত দুআটি সিজদা অবস্থায়, দুআ কুনুতে, নামাযের বাইরে হাত তুলে দুআ/মুনাজাত করার সময় এবং সাধারণভাবে বসা অবস্থায়, চলা-ফেরা করার সময় বা কাজের ফাঁকে-ফাঁকে অধিক পরিমাণে পাঠ করা যায়। আল্লাহ তাওফিক দান করুন।
▬▬▬▬◆◈◆ ▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর..
জনপ্রিয় পোস্ট
সর্বশেষ আপডেট