৩. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ
“ঝাড়-ফুঁক করা, তাবিজ লটকানো এবং স্বামী বা স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা সৃষ্টির জন্যে জাদুমন্ত্রের আশ্রয় নেয়া শিরক”। [3]
৪. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য এক হাদিসে বলেন,
مَنْ تَعَلَّقَ تَمِيمَةً، فَلَا أَتَمَّ اللهُ لَهُ، وَمَنْ تَعَلَّقَ وَدَعَةً، فَلَا وَدَعَ اللهُ لَهُ
“যে ব্যক্তি তাবিজ লটকাল, আল্লাহ্ যেন তার উদ্দেশ্য পূর্ণ না করেন। আর যে ব্যক্তি রোগমুক্তির জন্যে শামুক বা ঝিনুকের মালা লটকাল, আল্লাহ্ যেন তাকে শিফা না দেন”। [৪]
৫. তিনি অন্য এক হাদিসে বলেন,
مَنْ تَعَلَّقَ تَمِيمَةً فَقَدْ أَشْرَك
“যে ব্যক্তি তাবিজ লটকাল সে শিরক করল”। [৫]
৬. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে পিতলের একটি আংটা দেখে বললেন, এটি কী?
সে বলল, এটি দুর্বলতা দূর করার জন্যে পরিধান করেছি।
তিনি বললেন,
انْزِعْهَا فَإِنَّهَا لَا تَزِيدُكَ إِلَّا وَهْنًا فَإِنَّكَ لَوْ مِتَّ وَهِيَ عَلَيْكَ مَا أَفْلَحْتَ أَبَدًا
“তুমি এটি খুলে ফেল। কারণ এটি তোমার দুর্বলতা আরও বাড়িয়ে দিবে। আর তুমি যদি এটি পরিহিত অবস্থায় মৃত্যু বরণ কর, তাহলে তুমি কখনই সফলতা অর্জন করতে পারবে না”। [৬]
৭. হুজায়ফা (রাঃ) দেখলেন এক ব্যক্তির হাতে একটি সুতা বাঁধা আছে। তিনি তা কেটে ফেললেন এবং কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করলেন:
وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللَّهِ إلاَّ وَهُمْ مُشْرِكُونَ
“তাদের অধিকাংশই আল্লাহকে বিশ্বাস করে; কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে”। (সূরা ইউসুফ: ১০৬)
. সাঈদ বিন জুবায়ের (রাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি কোন মানুষের শরীর থেকে একটি তাবিজ কেটে ফেলল, সে একটি গোলাম আজাদ করার ছাওয়াব পেল। সাঈদ বিন জুবায়েরের এই কথাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত মারফু হাদিসের পর্যায়ভুক্ত।
——–টিকা———-
[১] তিরমিযী, অধ্যায়: কিতাবুত্ তিব্ব। শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানী (রঃ) হাসান বলেছেন। ( দখুনঃ সহীহুত্ তিরমিযী হা নং- ২০৭২ )
[২] বুখারি, অধ্যায়: কিতাবুত্ তিব্ব।
[৩] আবু দাউদ, অধ্যায়: কিতাবুত্ তিব্ব। শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানী হাদিস সহিহ বলেছেন। দেখুন: সিলসিলায়ে সহীহা হাদিস নং- (৬/১১৬১)। এখানে যে ঝাড়ফুঁক করাকে শিরক বলা হয়েছে, তা দ্বারা শিরকি কালামের মাধ্যমে ঝাড়ফুঁক উদ্দেশ্য। তবে ঝাড়ফুঁক যদি আল্লাহর কালাম, আল্লাহর সিফাত বা সহীহ হাদীছে বর্ণিত কোন বাক্যের মাধ্যমে হয়, তাতে কোন অসুবিধা নেই।
[৪] হাকেম, (৪/২১৯। ইমাম আলবানী (রঃ) হাদিসটিকে যঈফ বলেছেন। দেখুনঃ সিলসিলায়ে যঈফা, (৩/৪২৭)
[৫] মুসনাদে আহমাদ, (৪/১৫৬) ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন। দেখুন: সিলসিলায়ে সহীহা হাদিস নং (১/৮০৯)
[৬] মুসনাদে আহমাদ, দেখুনঃ আহমাদ শাকেরের তাহকীক [১৭/৪৩৫] , তিনি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
—————–
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।