জব্বর ফতোয়া : “তারা এই উম্মতের কেউ না!”
و من يتولهم منكم فإنه منهم
“তোমাদের মধ্যে যে তাদের (ইহুদী খৃষ্টানদের) দিকে মুখ ফিরাবে (বন্ধুত্ব করবে) সে তাদের অন্তর্ভুক্ত (সে এই উম্মতের কেউ না)।
মুফতি এই দলীলের আধারে গুলি মারলেন: ‘তাই সৌদি সহ মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশ আর এই উম্মতের অংশ নয়। কারণ তারা ইহুদী খৃষ্টানদের সাথে বন্ধুত্ব করেছে?’
কে জানে বাকি মুসলিম দেশগুলোর ব্যাপারে তার সিদ্ধান্ত যে কি?
আচ্ছা, আমাদের নাবী ﷺ ও কিন্তু মদিনায় বসবাসকারী ইহুদী সম্প্রদায় বানু নাজির ও বানু কুরাইজার সাথে সন্ধি করেছিলেন।
তিনি ﷺ এমতাবস্থায় মারা যান যে তার যুদ্ধের লোহার বর্মটি একজন ইহুদির নিকট ঋণের বদলে বন্ধক রাখা ছিল।
নবী করীম ﷺ খন্দক খোদাই করার সময় এক ইহুদী মহিলার দাওয়াত খেতে তার বাসায় কয়েকজন সাহাবীকে সাথে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।
নবী করীম ﷺ হিজরত করার সময় একজন অমুসলিমকে পথের গাইড করার জন্য সাথে নেন।
নবী করীম ﷺ একজন ইহুদী বালককে ঐ সময় দেখতে যান যখন সে মৃত্যু শয্যায় ছিল।
জানেন? তার একজন স্ত্রীর পিতা মানে শ্বশুর ইহুদী ছিল।
এবার সোজা ফতোয়া মারেন যে, এই উম্মতের নবীও ﷺ (নাউজু বিল্লাহ) এই উম্মতের কেউ না!
আপনাদের জ্ঞান হচ্ছে খুবই সস্তা ও ফেতনার জ্ঞান। আর তার থেকে বড় ফেতনা একদল অবুঝ অতি উৎসাহী যুবকদল। যারা আলেম উলামা বাদ দিয়ে দার্শনিক, পলিটিক্স এবং ইংলিশম্যান স্কলার খোঁজে। খুঁজুন আরও খুঁজুন, এই ভাবে ইসলামের বারোটা বাজিয়ে ছাড়বেন।
তাই বলছি, কোন বন্ধুত্বে মুসলিম ও মুসলিম শাসকরা এই উম্মত থেকে বের হবে তা এত সস্তা স্কলার ও সস্তা সমর্থকদের ফতুয়ায় হতে পারে প্রকৃত উলামাদের ব্যাখ্যা কিন্তু ভিন্ন। আর তা আপনি এই আয়াতের তাফসীর পড়লেই বুঝতে সক্ষম হবেন।
_____________________________________
গৃহীত: শাইখ আব্দুর রাকিব বুখারী হাফিজাহুল্লাহ