যে ফৎওয়ায় ফিরে পেলো তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী কে
ঢাকা বিমান বন্দরে কর্মরত জনৈক কর্মকর্তা, রাগের মাথায় স্ত্রীর প্রতি তিন তালাক উচ্চারণ করেন।
পরক্ষণেই স্বাভাবিক হলে নিজের ভুল বুঝতে পারেন। কিন্তু উপায় কি? স্ত্রী ফিরে পাবার আশায় ছুটতে লাগলেন রাজধানী ঢাকার নামকরা সব আলেমের নিকটে। সকলেরই একই কথা, স্ত্রী তালাক হয়ে গেছে। ফিরে পাওয়ার কোন পথ নেই ‘হিল্লা’ ব্যতীত।
এদের মধ্যে জনৈক টিভি ব্যক্তিত্ব ও দেশ-বিদেশে খ্যাতিমান আলেম বললেন, ‘হানাফী মাযহাবের ফৎওয়া অনুযায়ী আপনার স্ত্রী তালাক হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবে আপনার স্ত্রী তালাক হয়নি। তবে এই ফৎওয়া আমরা দিতে পারব না। যেহেতু আমরা একটি মাযহাবের প্রতিনিধিত্ব করি এজন্য আমাদের জন্য এই ফৎওয়া দেওয়া দুষ্কর। আমি আপনাকে একটি পথ দেখিয়ে দিতে পারি, যাতে আপনি স্ত্রী ফেরত নিতে পারেন। রাজশাহীতে একজন বড় আলেম আছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর। নাম ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। তাঁর নিকটে গেলে তিনি কুরআন-হাদীছের দলীল সহ আপনাকে এ বিষয়ে সঠিক ফৎওয়া দিতে পারবেন।’
পরামর্শ পাওয়া মাত্রই পরের দিন বিমান যোগেই তিনি চলে আসেন রাজশাহীতে। দেখা করলেন ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব এর সাথে। স্যার তার আদ্যপান্ত বিষয় অবগত হওয়ার পর তাকে ‘তালাক ও তাহলীল’ বইটা দিলেন। বইটি পাঠেই তার মনে আশার সঞ্চার হল। এরপরও গালিব স্যার তালাক সংক্রান্ত মাস’আলা তাকে দলিল সম্মতভাবে বুঝিয়ে দিলেন।
অতঃপর দারুল ইফতার প্যাডে আসাদুল্লাহ আল-গালিব স্যার এর স্বাক্ষরিত দলীল ভিত্তিক লিখিত ফৎওয়া দেওয়া হলো। তিনি এটি পেয়ে যেন নতুন জীবন ফিরে পেলেন। পরের দিনের বিমানে ফিরে গেলেন ঢাকা। ফৎওয়া অনুযায়ী এক তালাকে রাজঈ হওয়ায় স্ত্রী ফিরিয়ে নিলেন। এখনও তাদের সুখী দাম্পত্য জীবন চলছে…!
______________
ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন।
সমাজ সংস্কারে আত-তাহরীক-এর ফৎওয়া সমূহের ভূমিকা।
মাসিক আত-তাহরীক, মার্চ ২০১৬