এক নজরে কুরবানির বিধি-বিধান
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
❖ ১. কুরবানির বিধান: সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের জন্য কুরবানি দেয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ (গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত) মতান্তরে ওয়াজিব (আবশ্যক)।
❖ ২. কুরবানির পশু: উট, গরু, দুম্বা, ছাগল ও ভেড়া-নর ও মাদী।
❖ ৩. যে সকল পশু কুরবানি করা বৈধ নয়: স্পষ্ট কানা,স্পষ্ট অসুস্থ, ল্যাংড়া ও হাড্ডিসার পশু। (তিরমিযি, কিতাবুল হজ/ ৩৪)
❖ ৪. কুরবানির পশুর বয়স কমপক্ষে: উট ৫ বছর, গরু ২ বছর, ছাগল ও দুম্বা ১ বছর ও ভেড়া ৬ মাস।
❖ ৫. কুরবানির সময়-সীমা: ঈদুল আযহার সালাতের পর থেকে শুরু করে ঈদের পরে আরও তিন দিন পর্যন্ত (মোট চার দিন)
❖ ৬. জবাই: সম্ভব হলে নিজ হাতে জবাই করা সুন্নত। তবে অন্যের মাধ্যমে জবাই করা জায়েজ।
❖ ৭. গোস্ত বণ্টন: কুরবানির গোস্ত নিজে খাওয়া, আত্মীয়-প্রতিবেশীকে হাদিয়া দেয়া এবং গরীব মানুষদের দান করা সুন্নত। (তিন ভাগ করা উত্তম; আবশ্যক নয়)।
❖ ৮. গোস্ত সংরক্ষণ: পরবর্তীতে খাওয়ার উদ্দেশ্যে কুরবানির গোস্ত সংরক্ষণ করা বৈধ।
❖ ৯. কুরবানির চামড়া: ইচ্ছে করলে নিজে ব্যবহার করা যায় আবার তা সদকাও করা যায়। উভয়টাই জায়েজ ইনশাআল্লাহ।
❖ ১০. ভাগে কুরবানি: একটি পশু একটি পরিবারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট। তবে গরু বা উট সাত ভাগে কুরবানি দেয়া জায়েজ।
❖ ১১. মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানি: মৃত ব্যক্তি ওসিয়ত করে গেলে অথবা নিজের কুরবানিতে পরিবারের জীবিত ও মৃত সকলকে শামিল করে নিয়ত করা বৈধ। তবে মৃতের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে কুরবানি করা সুন্নত নয়।
❖ ১২. কুরবানি দাতার জন্য করণীয়: জিল হজ্জ মাস শুরু হলে কুরবানি করা পর্যন্ত নখ-চুল ইত্যাদি কাটা বৈধ নয়। তবে অনিচ্ছা বা অজ্ঞতা বশত: কাটলে তার জন্য তওবা করতে হবে। এ জন্য আলাদা কোন কাফফারা নাই। পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য এ বিধান প্রযোজ্য নয়।
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
লেখক:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সউদী আরব