প্রশ্ন: কোনও মানসিক প্রতিবন্ধী মা যদি তার সন্তানকে অভিশাপ দেয় তাহলে কি তা কার্যকর হবে?
উত্তর:
মানসিক প্রতিবন্ধী বা পাগলের হিতাহিত জ্ঞান না থাকায় সে মুখে যা বলে তা স্বেচ্ছায় সচেতনভাবে বলে না। কারণ তার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ নাই। তাই তো রাব্বুল আলামিন তার উপর থেকে শরিয়তের আদেশ-নিষেধ উঠিয়ে নিয়েছেন। অর্থাৎ তার নেকি বা গুনাহ কোনটাই লেখা হয় না-যত দিন পর্যন্ত সে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসে।
হাদিসে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ المُبْتَلَى حَتَّى يَبْرَأَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَكْبُرَ
আয়েশা রা. সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিন ধরণের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে:
(১) ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না জাগ্রত হয়।
(২) পাগল ব্যক্তি যতক্ষণ না সুস্থ না হয়।
(৩) এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক, যতক্ষণ না প্রাপ্ত বয়স্ক না হয়।
[সুনান আবু দাউদ (তাহকিককৃত) অধ্যায়: অপরাধ ও তার শাস্তি, অনুচ্ছেদ: পরিচ্ছেদ: পাগল চুরি বা দণ্ডনীয় অপরাধ করলে, হা/৪৩৯৮-সহিহ]
এ ক্ষেত্রে সন্তানদের দায়িত্ব হবে, মায়ের বদ দুআ, গালাগালি বা খারাপ আচরণে রাগ না করা বা প্রতিক্রিয়া না দেখানো এবং এর বিপরীতে তার সাথে খারাপ আচরণ না করা। বরং তারা ধৈর্যের সাথে তার প্রতি যত্ন নিবে, তার চিকিৎসা করার চেষ্টা করবে এবং তাকে সার্বিকভাবে তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করবে। তাহলে আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া করবেন এবং পরকালে এর উত্তম বিনিময় দান কবেন। ইনশাআল্লাহ
আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।
والله أعلم
-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
Leave a Reply