টানা ১৩ বছরের গবেষণার পর জিন থেরাপিতে সফলতার দেখা পেয়েছেন সুইজারল্যান্ডের একদল গবেষক। জিনগত অন্ধত্ব দূর করতে ঐ গবেষক দলের গবেষণাকে মানব ইতিহাসের জন্য মাইলফলক হিসাবে দেখা হচ্ছে। ঐ গবেষকদের কল্যাণে ৪০ বছর পর আংশিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন এক অন্ধ ব্যক্তি। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের গবেষকরা অপটোজেনেটিক থেরাপি ও বিশেষ চশমার ব্যবহারে তার দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষকরা দাবী করেছেন, এ ধরনের থেরাপি মানুষের ওপর সফল প্রয়োগের ঘটনা এটাই প্রথম।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৮ বছর বয়সী ঐ অন্ধ ব্যক্তি ৪০ বছর ধরে রেটিনাইটিস পিগমেনটোসা নামে স্নায়ুজনিত চক্ষুরোগে ভুগছিলেন। এতে চোখের ফটোরিসেপ্টরগুলোর ক্ষতি হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যেতে পারেন। বিজ্ঞানীরা চোখের রেটিনা কোষকে পুনঃপ্রোগ্রাম করতে এক ধরনের জিন থেরাপি ব্যবহার করেছেন। গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে নেচার মেডিসিন সাময়িকীতে। গবেষকরা বলছেন, এ থেরাপি ব্যবহারে চশমা পরা অবস্থায় কোন বস্ত্ত শনাক্ত, অবস্থান নির্ণয় বা গণনা করতে পারেন রোগী। ঘরের ব্যবহার্য জিনিসপত্র শনাক্ত করতে পারেন। গবেষক দলের সদস্য হোসে অ্যালেন সাহেল বলেন, এটা অবশ্যই রাস্তার শেষ নয়, তবে এটি একটি অন্যতম মাইলফলক। জিন থেরাপির মাধ্যমে অন্ধত্ব দূর করার লক্ষ্যে সাহেলের দল নিকট ভবিষ্যতে আরও স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে কাজ করবেন। এতদিন যা ছিল শুধুই তাত্ত্বিক বিষয়, এখন তা প্রায়োগিক হওয়ার কারণে বিজ্ঞানীদের পক্ষে কাজ করা আগের চেয়ে সহজ হয়েছে বলে মনে করেন সাহেল।
[আমরা এই গবেষণার সাফল্যের জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি তাঁর বিজ্ঞানী বান্দাদের মধ্যে ইলম প্রক্ষেপণ করেছেন। যার মাধ্যমে তারা সফলতা পেয়েছেন। ভবিষ্যতে এ সফলতা আরও সাফল্য লাভ করুক, সেই দো‘আ করি। যাতে বিশ্বের কোটি কোটি চক্ষু রোগী পূর্ণ দৃষ্টি লাভে সক্ষম হন (স.স.)]।