শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩১ অপরাহ্ন

পোশাক প্রদর্শনীর জন্য যে সকল মূর্তি বা ছবি ব্যবহার করা হয় সেগুলোর ব্যাপারে ইসলামের বিধান
রিপোর্টারের নাম / ১৮০ কত বার
আপডেট: শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১
পোশাক প্রদর্শনীর জন্য যে সকল মূর্তি বা ছবি ব্যবহার করা হয় সেগুলোর ব্যাপারে ইসলামের বিধান
➖➖➖➖➖➖➖➖➖
প্রশ্ন :- আমরা যারা ফেসবুকে অনলাইন বিজনেস করি তারা ফেসবুকে ড্রেসগুলোর ডিজাইন দেখানোর জন্য অ্যাড দিয়ে থাকি। যেখানে মেয়েদের ড্রেসপরা ছবিগুলো বেপর্দা ছবি, যদিও মেয়েদের মুখের অংশটা কেটে দিয়ে আপলোড করা হয় কিন্তু গলা থেকে শরীরের অংশটুকু রাখতে হয়। কারণ তা না হলে ড্রেসগুলোর ডিজাইন তো মানুষ বুঝবে না যেহেতু অনলাইন বিজনেস।
এখনে কথা হল, ছবিগুলোর গলা থেকে পা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। যেমন শাড়ী পড়া থাকলে গলা দেখা যাচ্ছে, পেট ও হাত দেখা যাচ্ছে আর শাড়ী তো শরীরের সংগে ফিটিং হয়ে আছে। এভাবে কি ছবি আপলোড দিলে গুনাহ হবে? আর এইভাবে বিজনেস করা কি জায়েজ হবে? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হতাম।
♦𖣔♦♦𖣔♦♦𖣔♦
উত্তর :
ইসলামে প্রাণীর মূর্তি, প্রতিকৃতি, ছবি, ভাস্কর্য তৈরি করা, বিক্রয় করা, প্রদর্শন করা, সংরক্ষণ করা হারাম-উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন।
তবে যদি সেগুলোর মাথা কর্তন করা হয় বা মুখাবয়ব মুছে ফেলা হয় তাহলে তাতে কোন সমস্যা নেই। কারণ, ছবি/মূর্তির মূল হল মাথা। সেটাই যদি না থাকে তবে তা গাছ বা জড় পদার্থের মত হয়ে যায়। এ সম্বন্ধে জিবরাইল আ. রসূলকে ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
مُر برأسِ التِّمْثَالِ فليَقْطَعُ فَيَصِيْرُ عَلي هَيئَةِ الشَّجَرَةِ وَمُرْ بِالسَّتْرِ فلْيَقْطَعْ فليَجْعَلْ مِنْهُ وِسَادَتَيْنِ تَوطأنِ
“আপনি মূর্তির মাথা কেটে দিতে বলেন, ফলে উহা বৃক্ষ আকৃতিতে রূপান্তরিত হবে। আর পর্দার কাপড়কে দু টুকরা করে তা দ্বারা দুটি বালিশ বানাতে বলেন।” (আবু দাউদ)
ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত। রাসূল সা. বলেন:
الصورة الرأس فإذا قطع الرأس فلا صورة
“ছবি হল মাথা। সুতরাং মাথা কেটে ফেলা হলে সেটা আর ছবি থাকল না।” (সহীহুল জামে, আলবানী, হা/৩৮৬৪)
এমন কর্তিত মস্তক মূর্তি বা ছবিতে পুরুষ বা মহিলাদের পোশাক ডিসপ্লে করা যেতে পারে। তবে শর্ত হল, এর মাধ্যমে ইসলামে নিষিদ্ধ নোংরা ও বেহায়াপনা মূলক পোশাক প্রদর্শন করা যাবে না। আর সেগুলোতে যেন নারী বা পুরুষের এমন সব অঙ্গ এমনভাবে ফুটে না থাকে যাতে বিপরীত লিঙ্গকে উত্তেজিত করতে পারে।
অনলাইন অথবা অফলাইন যাই হোক না কেন উপরোক্ত বিধানগুলো সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আল্লাহ তাওফিক দান কারী।
—————————–
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর..
জনপ্রিয় পোস্ট
সর্বশেষ আপডেট