রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন

কারও কাছে যদি বিড়ি-সিগারেট ছাড়া অন্য কিছু না থাকে তাহলে সে কীভাবে ইফতার করবে?
কাজী আসাদ বিন রমজান / ১৫৩ কত বার
আপডেট: সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২

প্রশ্ন: কারও কাছে যদি বিড়ি-সিগারেট ছাড়া অন্য কিছু না থাকে তাহলে সে কীভাবে ইফতার করবে অথবা কেউ যদি হারাম বস্তু দ্বারা ইফতার করে তাহলে কি তার রোজা শুদ্ধ হবে?
উত্তর:
কোনও রোজাদার ইফতার করার জন্য যদি কোনও হালাল খাদ্য-পানীয়ের ব্যবস্থা করতে পারে পায় তাহলে সূর্য অস্ত গেলে রোজা ভঙ্গ করার নিয়ত করে নিবে। (হারাম বস্তু গ্রহণ করবে না)। তাহলে তার রোজা শুদ্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

إنما الأعمال بالنيات، وإنما لكل امرئ ما نوى

“প্রতিটি আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রতিটি মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে।” [সহিহ বুখারি-১ম হাদিস]
যেমন: কেউ যদি সেহেরি খেতে না পারে বা তার কাছে সেহেরি খাওয়ার মত হালাল কোনও খাদ্যদ্রব্য না থাকে তাহলে রোজা রাখার নিয়ত করে নিলেই যথেষ্ট হবে।
অনুরূপ ইফতারের ক্ষেত্রেও নিয়তের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তদ্রূপ কেউ যদি নামাজ ভঙ্গ করার নিয়ত করে নেয় তাহলেও তা ভঙ্গ হয়ে যাবে। [শাইখ উসাইমিন রহ. এর দুরুস ও ফাতাওয়াল হারাম (২৬তম বৈঠক) এর অডিও লেকচার থেকে ফতোয়ার সারাংশ গৃহীত]

◍ বিড়ি-সিগারেট বা হারাম খাদ্যদ্রব্য দ্বারা ইফতার করলে কি রোজা শুদ্ধ হবে?

ইসলামে বিড়ি-সিগারেট তথা ধূমপান করা হারাম। সুতরাং তা দ্বারা ইফতার করাও হারাম। কিন্তু কেউ যদি তা করেও তাতে রোজা শুদ্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। অতএব জন্য উক্ত রোজাটি তার জন্য কাজা করা আবশ্যক নয়। কিন্তু ধূমপান করার কারণে গুনাহগার হবে। এ জন্য অনতিবিলম্বে তার তওবা করা আবশ্যক।

অনুরূপভাবে কোনও রোজাদার সূর্যাস্তের পর অন্য কোনও হারাম খাদ্য-পানীয় (যেমন: মদ অথবা শুয়োর বা হারাম প্রাণীর গোশত ইত্যাদি) ভক্ষণ করার মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করে তাহলেও তার রোজা শুদ্ধ হয়ে যাবে। এতে উক্ত রোজাটি কাজা করা আবশ্যক নয় বা তার উপরও কোনও কাফফারার বিধানও বর্তাবেন না। কিন্তু হারাম বস্তু গ্রহণ করার কারণে গুনাহগার হবে। এ জন্য অনতিবিলম্বে তার তওবা করা আবশ্যক।

অবশ্য, হালাল খাদ্য খাবার না পেলে প্রচণ্ড ক্ষুধার জ্বালায় জীবন বাঁচানোর স্বার্থে হারাম খাবার গ্রহণ করা বা রোজা রাখার পর তা দ্বারা ইফতার করা জায়েজ (কিন্তু এ ক্ষেত্রে ধূমপান করা জায়েজ হবে না। কারণ তা ক্ষুধা নিবারক নয়)। [সূরা বাকরা: ১৭৩]
আল্লাহু আলাম।
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর..
জনপ্রিয় পোস্ট
সর্বশেষ আপডেট