সব বাধা পেরিয়ে ইতিহাসের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। গত ২৫শে জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার সাথে সড়কপথে ২১টি যেলার সংযোগস্থাপনকারী ৬.১৫ মূল সেতু ও সেতু সংলগ্ন দু’পাশের সংযোগ সড়ক সহ ৯.৮৩ কি.মি. দৈর্ঘ্যের এই সেতুর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের আগে মাওয়া প্রান্তে এক সুধী সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে আজ বহু কাঙ্ক্ষিত সেতু দাঁড়িয়ে আছে। এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়, এ সেতু আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক। এ সময় তিনি সেতু নির্মাণের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের বিশেষভাবে স্মরণ করেন, যারা এই সেতুর নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে মূল্যবান সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, এই সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। পদ্মা সেতুর ওপারে কৃষিনির্ভর শিল্প গড়ে উঠবে। জাতীয়ভাবে অন্তত ১ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি বাড়বে। আর ওপারের ২১ যেলার ক্ষেত্রে জিডিপি বাড়বে অন্তত ২ দশমিক ৩ শতাংশ। এতে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। এছাড়া এই সেতুর মাধ্যমে ভারত, ভূটান ও নেপাল সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।
পদ্মা সেতুর পরিচয় : দ্বিতল সেতুটির উপরিভাগে ৪ লেন বিশিষ্ট গাড়ি চলাচলের রাস্তা। তবে এটি আসলে দু’পাশে দু’টি ব্রেকডাউন লেন সহ ৬ লেনের রাস্তা। যার প্রস্থ ১৮.১০ মি.। সেতুর নীচ তলায় থাকবে মিটার গেজ সহ ব্রড গেজ রেলপথ। যেখান থেকে নদীর পানির দূরত্ব থাকবে অন্তত ১৮ মিটারের। পানির স্তর বাড়লেও ব্রীজের তলা দিলে ৫ তলা বিশিষ্ট জাহাযের যাতায়াতে অসুবিধা হবে না। এই সেতুতে রয়েছে ৪১টি পিলার। যার ভীত পানির নীচে ১২০ মিটার গভীরে নেমে গেছে। এতে রয়েছে ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা। যা রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পেও অনায়াসে টিকে যাবে। রেল সেতু ২০২৩ সালের ২৫শে জুন উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর উত্তর অংশ মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় এবং দক্ষিণ অংশ থাকবে শরীয়তপুরের জাজিরায়।
I enjoy your ability to turn mundane topics into intriguing content. Great job!