কাজা নামাজের কতিপয় বিধি-বিধান:
▰▰▰▰▰▰▰▰▰▰▰
● ক. ঘুম বা ভুলে যাওয়ার কারণে কারও নামাজ ছুটে গেলে তার করণীয় হল, ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া বা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা কাজা করে নেয়া। তাহলে এতে কোন গুনাহ হবে না। কিন্তু স্মরণ আসা বা ঘুম ভাঙ্গার পরও কাজা করতে বিলম্ব করলে গুনাহ হবে। যেমন নিম্নোক্ত হাদিসটি:
আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
مَنْ نَسِىَ صَلاَةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا لاَ كَفَّارَةَ لَهَا إِلاَّ ذَلِكَ
“যে ব্যক্তি কোন নামাজ পড়তে ভুলে যায়, সে যেন তা স্মরণ হওয়া মাত্র পড়ে নেয়। (এই কাজা আদায় করা ছাড়া) এর জন্য আর অন্য কোন কাফফারা (প্রায়শ্চিত্ত) নেই।” [বুখারি ৫৯৭, মুসলিম ১৫৯৮, মিশকাত ৬০৩ নং হাদিস]
● খ. অনুরূপভাবে কোন ব্যক্তি যদি বিনা ওজরেও ইচ্ছাকৃত ভাবে নামাজ ছেড়ে দেয় তাহলে সে আল্লাহর নিকট তওবা করবে এবং উক্ত নামাজ কাজা করবে অন্যথায় তার উপর অর্পিত দায়িত্ব থেকে মুক্ত হবে না। (যদিও এ বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে তবুও কাজা করে নেয়াই অধিক নিরাপদ)
● গ. একাধিক নামাজ ছুটলে আগেরটা আগেএবং পরেরটা পরে-এই পদ্ধতিতে ধারাবাহিকভাবে নামাজ আদায় করবে।
● ঘ. ফরজের পাশাপাশি সুন্নতে রাতেবা বা ফরজ নামাজগুলোর আগে বা পরের নিয়মিত সুন্নত নামাজগুলো পড়ার চেষ্টা করবে।
● ঙ . নিষিদ্ধ সময়েও কাজা নামাজ পড়া যাবে। তবে কেবল ফরজ নামাজ; সুন্নত বা নফল নয়। এগুলো পড়া যাবে নিষিদ্ধ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর।
▬▬▬▬✪✪✪▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদি আরব।
Leave a Reply