নারী ফিতনায় পড়ে বনি ইসরাইলের এক ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি যেভাবে নানা পাপাচারে ডুবে শেষ পর্যন্ত মুশরিকে পরিণত হল। নারী ফিতনায় পড়ে বনি ইসরাইলের এক ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি যেভাবে নানা পাপাচারে ডুবে শেষ পর্যন্ত মুশরিকে পরিণত হল। – Avas Multimedia
  1. vaniadozier@bheps.com : alyceholbrook :
  2. edmundomarron@kzccv.com : ameliecrotty89 :
  3. glindamei@maskica.com : anahobson84 :
  4. irena@d.bigman.monster : antonioleboeuf :
  5. snapmessage@kaizenash.com : augustusdunckley :
  6. admin@avasmultimedia.com : Kaji Asad Bin Romjan : Kaji Asad Bin Romjan
  7. ericalarry@soulvow.com : bettiepelzer323 :
  8. reinaldocoles@1secmail.com : carissamonroe90 :
  9. youngwhitlam913@qiott.com : caseyzimmerman3 :
  10. alonzoivory@tekisto.com : chasepollard :
  11. lisha@a.cooldown.ink : clevelandcheshir :
  12. aridatha@o.getit.email : cymsanto49633 :
  13. aureliaricks@mailmenot.io : dalequintanilla :
  14. antoniaamsel@hidebox.org : daniloweldon :
  15. demetriusbirtwistle@star-diner.de : demetriusooo :
  16. nataliataylah@maskica.com : elkeeasterby2 :
  17. laurieflinders@qiott.com : emmanobelius770 :
  18. carolinenoel9300@aol.com : eusebiadods56 :
  19. soniacarlton8815@qiott.com : evelavallie89 :
  20. marcellaalbertson2873@wuuvo.com : ferngleason233 :
  21. franklynbowie7363@kzccv.com : fredricfreycinet :
  22. almedacallender@1secmail.com : haroldxge320 :
  23. alisapenny@anonmails.de : isabellkinser44 :
  24. lorrievillalobos4162@1secmail.com : jaycranwell032 :
  25. jestineherbert98@tie.jsafes.com : jestineherbert2 :
  26. johannaovens86@delight.bliss6.com : johannaovens5 :
  27. loviereitz3778@bheps.com : josefinatreasure :
  28. azucenawhitehead8007@1secmail.org : joyoquinn44951 :
  29. karolyn_tout76@contact.supportshq.click : karolyntout9 :
  30. santocoombe@anonmails.de : kathleen4536 :
  31. theresasalmon6033@dcctb.com : katlynneil2037 :
  32. sabrinahaight545@1secmail.org : kraignussbaum51 :
  33. clevelandmitch@maskica.com : leah85d339 :
  34. leonardurquhart50@autosattlerei.berlin : leonard65j :
  35. lucretiastoltz@kzccv.com : luciosorrells :
  36. admin@gmail.com : admin :
  37. ezraarkwookerum@qiott.com : marcstable36096 :
  38. karina@kaizenash.com : maria56d72297560 :
  39. margarettegoodfellow1686@1secmail.net : marthasturgill6 :
  40. melaniemichaels68@truth.oueue.com : melaniemichaels :
  41. markwrhelinbox@wrhel.com : nidag960037230 :
  42. admin@bagat-2.ru : nikole89m9962 :
  43. nichol@a.lifesaver.bar : onamchale2964 :
  44. elvismonahan230@kzccv.com : peggylindberg5 :
  45. frankieflorez@autosattlerei.berlin : qjsfrankie :
  46. bryoncastrejon1678@mailcatch.com : sashasammons593 :
  47. makaylachisholm724@1secmail.net : savannah6678 :
  48. chilupita@soulvow.com : soilafauver :
  49. seskiraitbekv@outlook.com : sondraabend :
  50. sibylheading@1secmail.org : susie25e13495527 :
  51. lasonyamike@makekaos.com : tahliasaragosa8 :
  52. tahliafredericks@pooma.servemp3.com : tanyabozeman :
  53. darrentengan@1secmail.org : teriwitt8134533 :
  54. ralphmclendon7@1secmail.org : tyronebarbosa47 :
  55. juliahelbig2528@dcctb.com : vadaskaggs63031 :
  56. albertcolon@1secmail.org : yvettemunoz1 :
  57. coreyosullivan@anonmails.de : zakmyh98600573 :
  58. borisjoris1963@kzccv.com : zakxoo61652594 :
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন

নারী ফিতনায় পড়ে বনি ইসরাইলের এক ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি যেভাবে নানা পাপাচারে ডুবে শেষ পর্যন্ত মুশরিকে পরিণত হল।

  • প্রকাশের সময়ঃ শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১১৮ বার দেখেছে

বারসিসার ঘটনা এবং শিক্ষা: নারী ফিতনায় পড়ে বনি ইসরাইলের এক ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি যেভাবে নানা পাপাচারে ডুবে শেষ পর্যন্ত মুশরিকে পরিণত হল

❑ বারসিসার ঘটনা:

বনি ইসরাইলের সময় এক ছোট্ট গ্রামে বারসিসা নামে এক খৃষ্টান পাদ্রি বসবাস করতো। সে ছিল খুব ধর্মপরায়ণ ও সৎ মানুষ। সে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করত এবং বিশ্বাস করত যে, ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর একজন রসুল।
সেই গ্রামে তিন ভাই ও এক বোন থাকতো। সেই ভাইদের জিহাদের জন্য ডাকা হল। কিন্তু তারা বোনকে একা রেখে যেতে চাইল না। কার কাছে রাখবে চিন্তা করতে লাগলো। গ্রামবাসী বারসিসার কথা বলল। কারণ গ্রামের সবাই বারসিসাকে উত্তম চরিত্রবান হিসাবে জানতো। তো তারা বারসিসার কাছে গেল, যখন তার কাছে তাদের বোনকে রাখতে চাইলে সে রাজি হল না এবং বলল ‘আমি অভিশপ্ত শয়তানের কাছ থেকে পানাহ চাই।’
কারণ সে ভয় করছিল যে সে গুনাহে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে। তখন শয়তান বারসিসার মনে কুমন্ত্রণা (ওয়াসওয়াসা) দিতে আসল। চালাক শয়তান জানতো যে বারসিসার মন খুবই নরম। সে কানে কানে বারসিসাকে বলল, “তারা যদি ভাল কাউকে তাদের বোনের জন্য খুঁজে না পায় এবং খারাপ কারো কাছে মেয়েটিকে রেখে যায় তখন কী হবে! এই পরিণতি কি তোমার ভুলের জন্য নয়?”
বারসিসা বুঝতে পারেনি যে, এটা শয়তানের কুমন্ত্রণা। মানুষের প্রতি দরদের কারণে মেয়েটিকে সে সাহায্য করতে রাজি হল।
সে মেয়েটিকে গির্জার বিপরীতে একটি ঘরে থাকতে দিল। গির্জার সামনে মেয়েটির জন্য খাবার রেখে আসত, মেয়েটি নিজে এসে খাবার নিয়ে যেত। বারসিসার সাথে তার দেখা হত না।
শয়তান বারসিসার কাছে আবার আসল এবং বলল, “তুমি কেন মেয়েটির খাবার তার ঘরের সামনে রেখে আসো না? এর ফলে মেয়েটাকে ঘর থেকে কেউ এতটা পথ একা একা হেঁটে বের হতে বা ফিরে যেতে দেখবে না!”
বারসিসা রাজি হল এবং মেয়েটির ঘরের সামনে খাবার রেখে আসতে শুরু করল। শয়তান এতেও খুশি হল না, সে আবার আসলো এবং কানে কানে বলল, কেন তুমি তার ঘরে ভিতরে খাবার দিয়ে আসো না? ফলে মানুষ তাকে ঘর থেকে একা একা বের হতে আর ঢুকতে দেখত না!
এবার বারসিসা তার ঘরের মধ্যে খাবার দিয়ে আসতে শুরু করল। শয়তান আবার আসলো এবং বলল, মেয়েটার সাথে তোমার কথা বলা উচিত, এভাবে একা থাকলে তো সে পাগল হয়ে যাবে। বারসিসা মেয়েটির কথা চিন্তা করে তার সাথে রুমের আড়ালে কথা বলতে শুরু করল।
শয়তানের কুমন্ত্রণায় এক সময় তারা একই রুমে কথা বলতে লাগল।

এভাবে শয়তান তার কাজের কঠিন অংশ বাস্তবায়ন করল। এই পর্যায়ে বারসিসা এবং মেয়েটা একে অপরের প্রতি দুর্বল হল এবং এক সময় ব্যভিচারে লিপ্ত হল। মেয়েটি গর্ভবতী হল , একটি বাচ্চা জন্ম দিল। বাচ্চা জন্মের সময় শয়তান বারসিসার কাছে আবার আসল এবং বলল, “এটা তুমি কী করলে? তোমার পাপের প্রমাণ সরিয়ে ফেল, না হলে মেয়েটির ভাইরা ফিরে আসলে তোমাকে খুন করবে!”
বারসিসা বাচ্চাটিকে খুন করল এবং ঐ ঘরের মেঝেতে পুতে ফেলল।
শয়তান এবার বলল, “তুমি এক নারীর সন্তান হত্যা করেছ এবং আশা করছ যে সে এটা কাউকে বলবে না?”
তখন বারসিসা মেয়েটিকেও খুন করল এবং তাকেও ঐ ঘরের মেঝেতে পুতে রাখল। মেয়েটির ভাইরা ফিরে আসলে তাদেরকে একটা মিথ্যা কবর দেখিয়ে বলল “তোমাদের বোন অসুখে মারা গিয়েছে এবং ঐ কবরে দাফন করা হয়েছে”। তারা বারসিসার কথা বিশ্বাস করল।
সেই রাতে শয়তান তিন ভাইকে একই স্বপ্ন দেখাল যে “বারসিসা তোমাদের বোনকে হত্যা করেছে, প্রমাণ হিসাবে তোমাদের বোন যে ঘরে থাকত তার মেঝে খুঁড়ে দেখতে পারো”। ঘুম ভাঙ্গলে তারা একে অপরকে স্বপ্নের কথা বলল এবং বুঝতে পারল তারা তিনজন একই স্বপ্ন দেখেছে।
যাচাই করার জন্য তারা বারসিসার এলাকায় যেয়ে প্রথমে বারসিসার দেখানো কবর খুঁড়ল, দেখল কিছু নেই, এর পর যে ঘরে তাদের বোন থাকত তারা ঐ ঘরের মেঝে খুঁড়ে তাদের বোনের এবং বাচ্চার লাশ পেল। তারা বারসিসাকে ধরল এবং বলতে বাধ্য করলো আসলে কি হয়েছিল।
তারপর তারা তাকে রাজার কাছে নিয়ে গেলে রাজা তাকে শিরশ্ছেদ করতে আদেশ দিল। যখন বারসিসাকে শিরশ্ছেদ করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন শয়তান কাছে আবার আসল। এবার ওয়াসওয়াসা না, মানুষের রূপ নিয়ে সে আসল। এসে বলল, “শুনো বারসিসা, আমি হলাম শয়তান, তোমার এই অবস্থা তোমার নিজের চিন্তায় হয়নি, আমিই করেছি আর একমাত্র আমিই তোমাকে বাঁচাতে পারি যদি তুমি আমার কথা মেনে চল।” বারসিসা বলল, “আমাকে কী করতে হবে?”

শয়তান বলল” আমাকে সেজদা কর আমি তোমাকে রক্ষা করবো” তো বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে বারসিসা শয়তানকে সিজদা করল এবং কাফের হয়ে গেল। সিজদা করার সাথে সাথে শয়তান তাকে বলল, ‘আমি এখন তোমার থেকে মুক্ত। আমি আল্লাহকে ভয় করি যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক’। এই বলে শয়তান সেখান থেকে পালাল এবং বারসিসার শিরশ্ছেদ করা হল।
কেয়ামতের দিন বারসিসাকে যখন জীবিত করা হবে তখন সে শয়তানকে সিজদা করতে করতে উঠে দাঁড়াবে!

দেখুন, শয়তান কীভাবে বারসিসাকে ফাঁদে ফেলেছিল। সে এসেছিল বন্ধুর বেশে, ভালো ভালো কথা বলতে আর আপাত:দৃষ্টিতে ভালো কাজে উৎসাহ দিতে। কিন্তু আসলে সে ছিল সবচেয়ে বড় শত্রু!
আল্লাহ বলেন, তাদের দৃষ্টান্ত শয়তান যে মানুষকে বলে কুফরি করো। অতঃপর যখন সে কুফরি করে তখন শয়তান বলে: “আমি তোমার থেকে মুক্ত। আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।” [সুরা হাশর ৫৯:১৬]
রেফারেন্স বই: নেক সুরতে শয়তানের ধোঁকা
(তালবিসুল ইবলিস)
লেখক : ইমাম ইবনুল জাওযী রাহ.

❑ ঘটনার সত্যতা কতটুকু?

বারসিসার এই ঘটনাটি কতিপয় তাফসির গ্রন্থে উল্লেখিত হয়েছে। যেমন: তাফসিরে কুরতুবি, তাফসিরে বাগাবি। তারা কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতটির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে উত্তর ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

‏ كَمَثَلِ الشَّيْطَانِ إِذْ قَالَ لِلْإِنسَانِ اكْفُرْ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ إِنِّي بَرِيءٌ مِّنكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ

“তারা শয়তানের মত, যে মানুষকে কাফের হতে বলে। অতঃপর যখন সে কাফের হয়, তখন শয়তান বলে, তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিশ্ব পালনকর্তা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করি। [সূরা হাশর: ১৬]

কিন্তু হাদিস বিশারদগণের দৃষ্টিতে উক্ত ঘটনাটি কোনও হাদিসের কিতাবে পাওয়া যায়নি। এটি মূলত: বনি ইসরাইল তথা ই হুদি-খ্রি স্টানদের থেকে নেওয়া। সুতরাং তা সত্য-মিথ্যা উভয়টি হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।

তবে ইসরাইলি ঘটনবালীর মধ্যে কোনও ঘটনা উপকারী ও শিক্ষণীয় হলে এবং তাতে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কিছু না থাকলে মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্য তা বর্ণনা করতে কোনও দোষ নেই। কেননা আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

‏ “‏ بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلاَ حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏

“আমার নিকট থেকে একটি আয়াত হলেও তা প্রচার করে দাও আর বনি ইসরাইলদের ঘটনাবলীও বর্ণনা করো। এতে কোন দোষ নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি আমার উপর স্বেচ্ছায় মিথ্যারোপ করবে সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামকে বানিয়ে নেয়।” [সহিহ বুখারি]
আউনুল মাবুদের গ্রন্থকার আল্লামা শামসুল হক আজিমাবাদি বলেন,

وقال مالك: المراد جواز التحدث عنهم بما كان من أمر حسن، أما ما علم كذبه فلا، قاله في الفتح

“আর মালেক বলেছেন যে, এ হাদিসের উদ্দেশ্য হল, তাদের ভালো বিষয়গুলো বর্ণনা করা বৈধ। কিন্তু যে বিষয় মিথ্যা বলে জানা যাবে তা বর্ণনা করা যাবে না। এমনটি রয়েছে ফাতহুল বারি গ্রন্থে।”

❑ ঘটনা থেকে কতিপয় শিক্ষণীয় দিক:
এ ঘটনা থেকে অনেক কিছু শিক্ষণীয় রয়েছে। নিম্নে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরা হল:

◆ ১. পুরুষের জন্য নারী ফিতনা অনেক ভয়াবহ বিষয়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মর্মে সতর্ক করে বলেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِي النَّاسِ فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ

“আমি আমার পর লোকদের মাঝে পুরুষদের জন্য মেয়েদের চেয়েও ক্ষতিকর আর কোন ফিতনা রেখে যাইনি।” [বুখারি ও মুসলিম]

◆ ২. নারীর ফিতনায় পড়ে একজন আল্লাহ ওয়ালা, বুজুর্গ ও ধর্মপরায়ণ মানুষও ধ্বংসের গহীন খাদে নিপতিত হতে পারে। নবি ইসরাইলের মধ্যে সর্বপ্রথম ফিতনা ছিল নারী কেন্দ্রিক। অত:এব এ বিষয়ে সাবধানতা অপরিহার্য।

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاء فإنَّ أَوَّلَ فِتْنَةِ بَنِي إسرائيلَ كَانَتْ في النِّسَاءِ

“অতএব তোমরা দুনিয়ার ধোঁকা থেকে বাঁচ এবং নারীর (ফিতনা থেকে) বাঁচ। কারণ, বানি ইসরাইলের সর্বপ্রথম ফিতনা নারীকে কেন্দ্র করেই হয়েছিল।” [সহিহ মুসলিম]

◆ ৩. নারী-পুরুষ নির্জন কক্ষে অবস্থান করার পরিণতি খুবই ভয়াবহ। আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

لا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ وَلا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ

“কোন পুরুষ পরনারীর সাথে নির্জনতা অবলম্বন করবে না এবং মাহরাম (বিবাহ নিষিদ্ধ পুরুষ) সঙ্গী ব্যতিরেকে পর নারীর সাথে সফর করবে না।” [সহীহ বুখারী ও মুসলিম]
ইমাম নওয়াবি এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন,

وَأَمَّا إِذَا خَلَا الْأَجْنَبِيّ بِالْأَجْنَبِيَّةِ مِنْ غَيْر ثَالِث مَعَهُمَا، فَهُوَ حَرَام بِاتِّفَاقِ الْعُلَمَاء

“তৃতীয় ব্যক্তি ছাড়া পরপুরুষ পরনারীর সাথে নির্জনতা অবলম্বন করা আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।”

◆ ৪. শয়তান মানুষকে ক্রমান্বয়ে ছোট থেকে বড় পাপের দিকে ধাবিত করে। এটা শয়তানের এক কুটকৌশল। আর তাই তো আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ وَمَن يَتَّبِعْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهُ يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاءِ وَالْمُنكَرِ

“হে ইমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে।”
[সূরা নূর: ২১]

◆ ৫. ধর্মপরায়ণ ও সৎ মানুষও শয়তানের ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদ নয়। সে বিভিন্ন কৌশলে মানুষকে পথভ্রষ্ট করে। এমনকি চারিত্রিক স্খলন ঘটিয়ে তাকে অবশেষে ঈমান থেকেও বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে। এটি ছিল শয়তানের প্রথম চ্যালেঞ্জ মানব জাতির প্রতি।
আল্লাহ তাআলা বলেন,

قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ
” সে (ইবলিশ) বলল, “(হে আল্লাহ) আপনার ক্ষমতা-সম্মানের কসম, অবশ্যই আমি তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করব। তবে তাদের মধ্যে আপনার একনিষ্ঠ বান্দারা ব্যতীত।” [সূরা সোয়াদ: ৮২-৮৩]

এজন্যই সর্বদা শয়তানের কুমন্ত্রণার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বন করা মুমিনের জন্য অপরিহার্য। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَ اِمَّا یَنۡزَغَنَّکَ مِنَ الشَّیۡطٰنِ نَزۡغٌ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ

“আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা কখনো তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে তুমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।” [সূরা ফুসসিলাত: ৩৬]

◆ ৬. “মদ অনিষ্টের চাবি।”-এ হাদিসের সত্যতা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

لاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ

“মদ পান পান কর না। নিশ্চয়ই তা সকল অনিষ্টর চাবি।” [সহিহ ইবনে মাজাহ হা/৩২৭৫]
মদপানের প্রভাবে মানুষ দুনিয়ার সব ধরণের অন্যায়-অপকর্ম করার সম্ভব। তাই ইসলামে মদপানকে শুধু হারাম বলেই এবং তাকে ফৌজদারী আইন অনুযায়ী দণ্ডণীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

এমন আরও বহু মূল্যবান শিক্ষা নিহীত রয়েছে উপরোক্ত ঘটনায়।

মোটকথা, বারসিসার ঘটনাটি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পূর্বযুগে ঘটে যাওয়া একটি প্রসিদ্ধ ঘটনা। যা একটি ইসরাইলি বর্ণনা তথা ইহুদি-খৃষ্টানদের থেকে নেওয়া। কোনও হাদিসের কিতাবে এর বিবরণ পাওয়া যায় না। কিন্তু তা শিক্ষণীয় হওয়ায় তা অনেক আলেম তা তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন। আর সত্যি এর মধ্যে আমাদের জন্য রয়েছে অনেক বড় শিক্ষা।
আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং সব ধরণের ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে, বিশেষ করে নারী ফিতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন। আল্লাহু আলাম।

– আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী।

এই পোষ্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সর্ম্পকিত আরোও দেখুন