শিয়ারা কস্মিনকালেও মুসলিম ছিল না, তারা কাফির।
আমি ২০০৫ সালে “পাঠচক্রে” একটি বই একাধারে তিনদিন ধরে পড়েছিলাম,
বইটির নাম হলো “ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ”
বিংশ শতাব্দীতে ইসলামী জাগরণের জন্য যাঁরা বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় হচ্ছেন শায়খ হাসানুল বান্না (রহ), বাদীউয্যামান সাঈদ নুরসী (রহ) ও সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী (রহ)।
এই বই পড়ে কোথাও খুঁজে পাইনি শিয়াদের প্রতি তাঁদের কোন সম্পর্ক আছে। তাহলে আজ কেন তাদের অনুসারীদের শিয়াদের প্রতি এতো টান??
শায়খ হাসানুল বান্না (রহ), বাদীউয্যামান সাঈদ নুরসী (রহ) ও সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী (রহ) এঁরা মুসলিম তাতে কোন সন্দেহ নেই, যদিওবা তাদের আকিদাতে কিছুটা ত্রুটি রয়েছে, তার পরেও তাঁদের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করা যাবে। কেননা, তারা মুসলিম ছিল।
কিন্তু শিয়ারা কস্মিনকালেও মুসলিম ছিল না, তারা সাহাবী বিদ্বেষী শুধু তাই নয়, তারা জান্নাতী সাহাবীদেরকে কাফির বলেছেন। অথচ সাহাবীরা ছিলেন, সত্যের মাপকাঠি।
শিয়াদের মুসলিম বিশ্বে কিছু ভূমিকা রয়েছে, যাঁর কারনে তাদের সেলুট জানাই, কেননা তাঁরা পশ্চিমাদের কাছে মাথা নত করে নি। তবে তার মানে এই না যে, তাদের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করব। কেননা, তারা মুসলিম নন, তাই তাদের জন্য দোয়া করা হারাম।
অনেকে যারা দলের গোড়ামী করে, তারা এখন বলবে, এ সময়টা ফতুয়া বাজি করার নয়, আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলব, ফতুয়া কখন দিতে হয় আপনাদের জানা আছে কি?? যখন কোন সমস্যা তৈরি হয় তখনই ফতুয়া দিতে হয়। আর ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে মুসলিমদের মাঝে যা শুরু হইছে, এ সময় যদি ফতুয়া (সঠিক তথ্য) না দেয়া হয় তাহলে খুব শীঘ্রই মুসলিমরা তাদের অনিষ্ট ও ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে যাবে।
এ কথা বলতে গেলে আমি হব ফতুয়াবাজ।
“বাগদাদের অভিজাতদের একজন হাসান বিন সাফি তুর্কি যিনি গোঁড়া শি-য়া রাফেযী ছিলেন। যখন তার মৃ-ত্যু হলো তো আহলুস সুন্নাতের সমস্ত লোকেরা তার মৃ-ত্যুতে খুশি উদযাপন করলো এবং আল্লহর শুকরিয়া আদায় করলো। এমন একজন বান্দাও ছিলো না যে কিনা তার মৃত্যু সংবাদ শুনে আল্লহর হামদ ও ছানা পাঠ করে নি। ”
[ আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ: ১২/৩৩৮]
আলহামদুলিল্লাহ! আজ সেই খুশি আবার অন্তরে উদ্ভাসিত হয়েছে কেবল শিয়াদের দালা-লরাই আহলুস সুন্নাহর মুখোশে তাদের জন্য শোক ব্যক্ত করবে।
লিখা ইতি টানতে চাই ” বাংলাদেশের একজন ইসলামিক স্কলার-এর উক্তি দিয়ে-
ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহি.) তিনি বলেন,
“আমাদের বাংলাদেশের মানুষের কাছে ধর্মীয় আবেগ বেশি, কিন্তু ধর্মীয় জ্ঞান কম”
আল্লহর নিকট দুয়া করি, তিনি যেন শিয়াদেরকে হেদায়াত দান করেন এবং মুসলিমদেরকে তাদের অনিষ্ট ও ষড়যন্ত্রের কবল থেকে হেফাজত করেন। নিশ্চয় তিনি সব ব্যাপারে ক্ষমতাশীল।
❏-লিখক:
কাজী আসাদ বিন রমজান।
প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, আভাস মাল্টিমিডিয়া, দিনাজপুর, বাংলাদেশ।
তারিখঃ ২০ মে ২০২৪, ইং,
সময়ঃ ৫ঃ১৫ মিনিট।