রাজধানীর জুরাইনে আজ বুধবার রাতে মাদক ব্যবসায়ীদের ছুরিকাঘাতে জাকির হোসেন (৫০) নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এ সময় তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে তাঁর সঙ্গী মজিবুর রহমান ওরফে মোহন (৪০) আহত হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত জাকির কদমতলী থানা-পুলিশের সোর্স (তথ্যদাতা) ছিলেন।
কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেলে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব জুরাইনের নবারুণ গলিতে জাকির ও মজিবুর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে রাত নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক জাকিরকে মৃত ঘোষণা করেন। মজিবুর ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জাকির হোসেন সপরিবার কদমতলী থানার রায়েরবাগের মদিনাবাগে থাকতেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, লিটন নামের এক যুবক মজিবুরকে পূর্ব জুরাইনে নবারুণ গলিতে ডাকাত ধরে দেবে বলে ফোন করে নিয়ে যান। জাকির তাঁকে (মজিবুর) নিয়ে সেখানে যান। এ সময় সেখানে মাদক ব্যবসায়ী স্বপন, শুকুরসহ ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী ছুরি দিয়ে জাকিরকে বুকে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করেন। তিনি (মজিবুর) বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। তাঁর বাঁ চোখের নিচে আঘাত লাগে।
খবর পেয়ে নিহত জাকিরের ছেলে ঢাকা মেডিকেলে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা কদমতলী থানা-পুলিশের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। মাদক ব্যবসায়ীরা বাবাকে কুপিয়ে আহত করেছে—এই খবর শুনে হাসপাতালে এসেছি।’
রাত সাড়ে ১০টার দিকে যোগাযোগ করা হলে কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মাঝেমধ্যে জাকির পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন।
Leave a Reply