রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

আমাদের সমাজে প্রচলিত ২৪৪ টি কুসংস্কার! যা ক্ষতি করছে সকলের ঈমান
ব্রাদার রাহুল / ৫০৬ কত বার
আপডেট: রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

▌আমাদের সমাজে প্রচলিত ২৪৪ টি কুসংস্কার
____________________________________________
প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ, আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে এধরনের বহু কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। যা প্রতিনিয়ত মানুষ কথায় ও কাজে ব্যবহার করে থাকে। এগুলোর প্রতি বিশ্বাস করা ঈমানের জন্য মারাত্মক হুমকী। কিছু কিছু হল শিরক এবং স্পষ্ট জাহেলিয়াত। কিছু কিছু সাধারণ বিবেক বিরোধী এবং রীতিমত হাস্যকরও বটে।
.
মূলত: বাজারে ‘কি করিলে কি হয়’ মার্কা কিছু বই এসবের সরবরাহকারী। অশিক্ষিত কিছু মানুষ অন্ধবিশ্বাসে এগুলোকে লালন করে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরী। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সমাজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য কুসংস্কার থেকে এখানে কয়েকটি মাত্র উল্লেখ করা হয়েছে। আপনাদের নিকট যদি কিছু জানা থাকে তবে মন্তবের ঘরে সংযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
——————————————————————-
১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে।

২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না।

৩) কাউকে দেখে বলা- আপনার কথা হচ্ছিল আপনার হায়াত আছে।

৪) কোন বিশেষ পাখি দেখলে বা ডাকলে আত্মীয় আসবে মনে করা।

৫) বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার সময় খালি কলস ,কালো বিড়াল, ঝাড়ু দেখলে যাত্রা অশুভ।

৬) খাওয়ার পর যদি কেউ গা মোচড় দেয়, তবে খানা কুকুরের পেটে চলে যায়।

৭) ঘর থেকে বের হয়ে পিছন দিকে ফিরে তাকানো বা ডাকা অশুভ ।

৮) খানার সময় হেচকি উঠলে কেউ স্মরণ করছে মনে করা।

৯) বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে শিয়ালের বিয়ে হয়। ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে।

১০) ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না।

১১) ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না।

১২) বাসর ঘরে স্ত্রী নিকট দেন মোহর মাপ চেয়ে নিলেই চলে, দিতে হয় না।

১৩) খালি মুখে মেহমান ফেরত গেলে অমংগল হয়। কাউকে শুধু পানি দেয়া উচিত না।

১৪) কুরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল/লবন দিতে হয়।

১৫) পরীক্ষা পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। খেলে পরীক্ষায় ডিম (শুন্য) পায়।

১৬) মুরগীর মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যু দেখবে না।

১৭) জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে।

১৮) রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসলে জ্বর হবে।

১৯) রাতে বাঁশ কাটা যাবে না। রাতে গাছ থেকে ফল পাড়া উচিত না ।

২০) রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না।

২১) ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হবে।

২২) ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না।

২৩) মহিলাদের বিশেষ দিন গুলোতে সবুজ কাপড় পড়তে হয়,তার হাতের কিছু খাওয়া যাবে না।

২৪) বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হয়।

২৫) ভাঙ্গা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না।

২৬) ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে। আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে।

২৭) নতুন কাপড় পরিধান করার পূর্বে আগুনে ছেক দিয়ে পড়তে হবে।

২৮) নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাইতে নাই।

২৯) চোখে গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু ছোয়ালে সুস্থ হয়ে যায়।

৩০) আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে আর কোন দিন বিবাহ হবে না।

৩১) ঔষধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ বললে’ রোগ বেড়ে যাবে।

৩২) রাতের বেলা কাউকে সুই-সূতা দিতে নাই।

৩৩) গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতে নাই।

৩৪) খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়। না হলে ঘরে বিপদ আসে।

৩৫) গোছলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই।

৩৬) মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবেহ করা যাবে না।

৩৭) পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে।

৩৮) বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে।

৩৯) বাচ্চাদের শরিরে লোহা বা তাবিজ থাকতে হবে।

৪০) রুমাল দিলে ঝগড়া হয়।ছাতা, হাত ঘড়ি ইত্যাদি ধার দেয়া যাবে না।

৪১) হোঁচট খেলে মনে করা ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে।

৪২) হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে।

৪৩) নতুন স্ত্রী কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ।

৪৪) নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে।

৪৫) কাচা মরিচ হাতে দিতে নাই।

৪৬) তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই।

৪৭) রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই।

৪৮) রাতে কাক বা কুকুর ডাকলে বিপদ আসবে।

৪৯) শকুন ডাকলে, বিড়াল কাদলে মানুষ মারা যাবে। পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে।

৫০) কাউকে ধর্মের ভাই-বোন, বাবা-মা ডাকলেই আপন হয়ে যায়, পর্দা লাগে না।
৫১) তিনজন একই সাথে চলা যাবে না।

৫২) নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে।

৫৩) একবার মাথায় টাক খেলে দ্বিতীয় বার টাক দিতে হবে, নতুবা সিং উঠবে।

৫৪) খানা একবার নেওয়া যাবে না, দুই-তিন বার নিতে হবে।

৫৫) নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে।

৫৬) নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে।

৫৭) পাতিলের মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান হয়, পেট বড় হয়।

৫৮) পোড়া খানা খেলে সাতার শিখবে।

৫৯) পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে।

৬০) দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাউল উঠিয়ে রান্না করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেকেও খেতে হবে।

৬১) সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ঘর ঝাড়– দেয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেয়া যাবে না।

৬২) রাতের বেলা কোন কিছু লেন-দেন করা যাবে না।

৬৩) সকাল বেলা দোকান খুলে বনি না করে কাউকে বাকী দেয়া যাবে না।

৬৪) দাঁড়ী-পাল্লা পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে চুমা করতে হয়, দোকানের টাকার বাক্স সকালে চুমা করতে হয়। গাড়ি/রিক্সা সালাম করে চালান শুরু করতে হয়।

৬৫) শুকরের নাম মুখে নিলে ৪০দিন মুখ নাপাক থাকে।

৬৬) রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে দই বলতে হয়।

৬৭) বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে।

৬৮) ফসলের জমিতে মাটির পাতিল সাদা-কালো রং করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

৬৯) বিনা ওযুতে বড় পীর আবদুল কাদের জিলানীর নাম নিলে আড়াইটা পশম পড়ে যায়।

৭০) নখ চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হয়।

৭২) মহিলারা হাতে বালা বা চুড়ি না পড়লে স্বামীর অমঙ্গল হয়।

৭৩) স্ত্রী নাকে নাক ফুল না রাখলে স্বামী বাচে না।

৭৪) দা, কাচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে হাত-পা কেটে যাবে। ছোট বাচ্চা ডিঙ্গিয়ে গেলে লম্বা হয় না।

৭৫) গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাপ চাইতে হয়।

৭৬) লেন দেনের জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না। এক লক্ষ হলে একলক্ষ-এক টাকা ধার্য করা।

৭৭) দোকানের প্রথম কাস্টমার ফেরত দিতে নাই।

৭৮) পুরুষ ছেলের রাগ দমন করার জন্য কান ছিদ্র করা।

৭৯) পায়ে মেহেদি ব্যবহার করা উচিত না।

৮০) হজ্ব থেকে ফেরত আসলে ৪০ দিন ঘরে বসে থাকতে হয়।

৮১) আকিকার গোস্ত বাবা-মা খেতে পারবে না

৮২) সমাজের বেশি ভাগ মানুষ যা করে তাই সঠিক মনে করা।

৮৩) পীর না ধরলে মুক্তি পাওয়া যাবে না। যার পীর নাই তার পীর শয়তান মনে করা ।

৮৪) নতুন ঘর, ব্যবসা শুরু করতে মিলাদ দিতে হয়।

৮৫) খাতনা করলে, কলেমা পড়লেই মুসলান হয়, প্রতিদিন নামাজ লাগে না।

৮৬) শুক্রবার জুমার নামাজ পড়লেই চলে প্রতি দিন নামাজ লাগেনা।

৮৭) যুবক বয়সে নামাজ লাগে না, নামাজ বুড়াদের জন্য ।

৮৮) মৃত ব্যক্তির জন্য চল্লিশা, মৃত্যু বার্ষিকী না করলে মৃতের আত্বা কষ্ট পায়।

৮৯) মৃত ব্যাক্তির কবরে জিয়ারতের সময় মোমবাতি, আগরবাতি, ফুল দিতে হয়।

৯০) নামাজ পড়তে টুপি লাগে, বিয়ে করতে টুপি পরতে হয়।

৯১) বিয়ের পর মুরব্বিদের দাড়িয়ে সালাম করতে হয়, পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে হয়।

৯২) ঈদের রাতে, সবেবরাতের রাতে মৃত আপন জনের আত্বা ঘরে আসে।

৯৩) স্বামীর নাম , শশুরের নাম উচ্চারন করা যাবে না।

৯৪) মন ভাংগা ও মসজিদ ভাংগা সমান।

৯৫) তিন শুক্রবার জুমা না পড়লে স্ত্রী তালাক হয়ে যায়, মুসলমান থাকে না।

৯৬) হরলিকস খেলে বাচ্চারা ‘লম্বা-শক্তিশালী-বুদ্ধিমান’ হয়।

৯৭) মেয়ে সন্তান হয় স্ত্রীর দোষে।

৯৮) জন্মের পর বার বার সন্তান মারা গেলে অরুচিকর নাম রাখলে সন্তান বেঁচে যায়।

৯৯) বুড়া হলে হজ্ব করা উচিত, যুবক বয়সে হজ্ব “রাখা(!)” যায় না

১০০) একটি দাড়িতে সত্তরটি ফিরিশতা থাকে

১০১) একটি ভাতের দানা বানাতে সত্তরজন ফিরিশতা লাগে

১০২) চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলা কিছু কাটলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হয়

১০৩) ১৩ সংখ্যা অশুভ আর ৭ শুভ ।

১০৪) প্লেট চেটে খেলে কন্যা সন্তান হয়

১০৫) শবে বরাতের রাতের গোসল করলে গুনা মাফ হয়

১০৬) শবে বরাতে হালুয়া-রুটি বানালে আরশের নিচে ছায়া হবে

১০৭) রোযাদারের খাবারের হিসাব হবে না

১০৮) তালিবুল ইলমের জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা ডানা বিছিয়ে দেন

১০৯) দোকান ঝাড়ু দেয়ার আগে ভিক্ষা দেয়া বা বেচা-কেনা করা যাবে না

১১০) কলা হাত দিয়ে ভেঙে ভেঙে খাওয়া সুন্নত

১১১) প্রজাপতিকে পানি পান করালে মৃত ব্যক্তিকে পান করানো হয়

১১২) মসজিদে লাল বাতি জ্বলা অবস্থায় নামায পড়া নিষেধ

১১৩) মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলা হারাম

১১৪) বিদ্যানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে মূল্যবান

১১৫) স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর জান্নাত।

১১৬) যে ঘরে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় সে ঘর কি চল্লিশ দিন নাপাক থাকে

১১৭) আগের উম্মত নবীর মাধ্যম ছাড়া দুআ করতে পারত না

১১৮) আশুরার রোযা: ষাট বছর ইবাদতের সওয়াব

১১৯) আল্লাহকে পাইতে মাধ্যাম লাগে, পীর হইল মাধ্যম

১২০) মুহাররম মাসে বিবাহ করা অশুভ

১২১) ফিরিশতারা গুনাহ মাথায় নিয়ে মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন

১২২) কবরের চার কোণে চার কুল (অর্থাৎ সূরা কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক, নাস) পাঠ করা

১২৩) কোন বস্তু/ ব্যক্তি কে লক্ষ্মী বা শুভ মনে করা

১২৪) ডানে শুভলক্ষণ বামে কুলক্ষণ নির্ধারনে পাখিকে ঢিল মারা

১২৫) মাগরীবের আযান দিলে দোকান পাট বা গাড়িতে ‘সন্ধ্যার বাতি’ জালানো

১২৬) রোজা- নামাজের নিয়ত (আরবীতে বা মাতৃভাষায়)মুখে উচ্চারন করা

১২৭) জিবরীলের চার প্রশ্ন … আপনি বড় না দ্বীন বড়?

১২৮) শয়তান ঈদের দিন রোজা রাখে

১২৯) দোকানে বরকতের জন্য সকালে গোলাপজল সন্ধ্যায় আগরবাতি জ্বালাতে হয়

১৩০) গোঁফ স্পর্শ করা পানি পান করা হারাম

১৩১) খোদার পর বাবা-মা তারপর নবীজী

১৩২) মৃতের রূহ চল্লিশ দিন বাড়িতে আসা যাওয়া করে

১৩৩) আল্লাহ কোনো বান্দার দিকে ১০ বার রহমতের নজরে তাকালে সে নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়তে পারে। আর ৪০ বার তাকালে হজ্ব করতে পারে। আর ৭০ বার তাকালে আল্লাহর রাস্তায় বের হতে পারে।’

১৩৪) দোয়ার শেষে হাতে চুমু খেতে হয়

১৩৫) বদ নযর থেকে হেফাযতের জন্য শিশুর কপালে টিপ দিতে হয়।
১৩৬) মেয়ে সন্তান হলে আযান দিতে হয় না।

১৩৭) যাকাত শুধু রমযান মাসে আদায় করতে হয়

১৩৮) গায়রে মাহরামের সাথে কথা বললে অযু নষ্ট হয়ে যায়

১৩৯) ছেলের পিতা ও বন্ধুরা পাত্রী দেখবে ও যাচাই করবে

১৪০) টাখনুর উপর কাপড় শুধু নামাযের সময় উঠাতে হয়

১৪১) বাচ্চাদের বদনজর থেকে রক্ষার জন্য -,‘ষাট ষাট বালাই ষাট’ বলতে হয়।

১৪২) কিয়ামতের আলামত : বেগুন গাছ তলায় হাট বসবে।

১৪৩) নাম বদলালে আকীকা দিতে হয়।

১৪৪) কিয়ামতের দিন নবীজী তিন স্থানে বেহুশ হবেন(নাউযুবিল্লাহ)।

১৪৫) ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন শুধু মৃত্যু সংবাদ শুনে বলতে হয়।

১৪৬) হাঁটু খুলে গেলে অযু ভেঙ্গে যায়।

১৪৭) জুমার রাত কদরের রাত থেকেও উত্তম।

১৪৮) সুরমা তুর পর্বত এর তাজাল্লী থেকে সৃষ্টি।

১৪৯) কবরের দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা নিষেধ।

১৫০) মেরাজে নবীজীর সাতাশ বছর সময় লেগেছিল।

১৫১) তওবার জন্য অযু জরুরি।

১৫২) শ্বশুর বাড়ি প্রবেশের আগে নববধুর পা ধোয়াতে হয়।

১৫৩) খাওয়ার পর প্লেট ধোয়া পানি পান করা সুন্নত।

১৫৪) আজানের জবাবে পুরুষ পাবে এক লক্ষ নেকী, মহিলা দুই লক্ষ নেকী।

১৫৫) হযরত ওমরের ইসলাম গ্রহণের দিন কাবা শরীফে আযান শুরু হয়।

১৫৬) দিনের প্রথম উপার্জন হাতে পাওয়ার পর তাতে চুমো দেয়া, গাড়ির স্টিয়ারিং, হাতল বা কোনো অংশে ছোঁয়ানোর পরে বুকে ও চোখে লাগানো।

১৫৭) মাদরাসা রাসূলের ঘর।

১৫৮) ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।

১৫৯) কারো অকাল (অসময়ে) মৃত্যু হয়েছে মনে করা ।

১৬০) প্রবল ঝড়-বৃষ্টি বন্ধের জন্য আযান দেয়া।

১৬১) বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করতে হয়

১৬২) জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও- হাদিস মনে করা

১৬৩) মসজিদে নববীতে চল্লিশ ওয়াক্ত নামায জরুরি মনে করা

১৬৪) বিয়েতে ‘কালেমা’ পড়তে হয়, মৃতের লাশ নেয়ার সময় কলেমা পড়তে হয়।

১৬৫) বিশেষ দিনে/ শ্রদ্ধা জানাতে ছবি, মুর্তি বা কবরে ফুল দিতে হয়।

১৬৬) আল্লাহ্ তালার আঠারো হাজার মাখলুকাত

১৬৭) কাফের মারা গেলে ‘ফী নারি জাহান্নামা’ বলতে হয়

১৬৮) বিধবার অন্যত্র বিবাহ হলে সে পূর্বের স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়

১৬৯) আসরের সালাতের পর কিছু খাওয়া উচিত না

১৭০) ভাত পড়লে, তুলে না খেলে তা কবরে সাপ-বিচ্ছু হয়ে কামড়াবে

১৭১) কেউ হঠাৎ ভয় পেলে বুকে থুথু দিতে হয়।

১৭২) বাচ্চা বিছানায় পেশাপ করলে তাবিজ দিতে হয়।

১৭৩) শালি–দুলাভাই আপন ভাই বোনের মত, পর্দা লাগে না।

১৭৪) ভালো মানুষের নামাজ লাগে না।
১৭৫) পীর-দরবেশদের হিসাব আলাদা, তাদের সাধারন মানুষদের মত নামাজ- রোজা লাগেনা।

১৭৬) স্ত্রী স্বামীকে তালাক নিলে দেন মোহর দিতে হয় না।

১৭৭) গোসল করে ফল খেতে হয় না।

১৭৮) গর্ভবতী মহিলা সর্বদা লোহা, ম্যাচের কাঠি, রশুন সাথে রাখবে, নতুবা অমংগল হয়।

১৭৯) জবাইকৃত মুরগির পেটের ডিম, বাড়িতে তৈরি প্রথম পিঠা অবিবাহীত মেয়েরা খাবে না

১৮০) মৃতের বাড়িতে তিন দিন চুলা জ্বালাতে হয় না

১৮১) আযান শুনলে মেয়েরা মাথায় কাপড় দিবে, অন্য সময় না দিলেও চলে।

১৮২) বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দুর

১৮৩) দুধ ও আনারস এক সাথে খেলে বিষ হয়ে যায়

১৮৪) রত্ন-পাথর ব্যবহারে ভাগ্য পরিবর্তন হয়, নীলা সবার সহ্য হয় না, ভাগ্যে শনির প্রভাব পড়ে, হাতে ভাগ্য লিখা থাকে, পাথর ব্যবহার করা সুন্নত।

১৮৫) খাবার পর মিষ্টি খাওয়া সুন্নত।

১৮৬) দোয়া করতে হুজুর ডাকতে হয়, নিজে না করাই ভাল।

১৮৭) পীর-ফকির তাদের মুরিদদের হিসাব ছাড়া বেহেস্তে নিয়ে যাবে।

১৮৮) বিড়াল মারলে লবন ও গামছা সদগা দিতে হয়।

১৮৯) মাজারে সিন্নি দিতে হয়, মুরগি-খাসি দান করতে হয়।

১৯০) রাস্তার পাশে কবর-মাজার দেখলে ভক্তি সহকারে দূর থেকে চুমা করতে হয়।

১৯১) পীর বাবা সন্তান দিতে পারে

১৯২) গাছের ফল চুরি হলে গাছে আর ফল ধরে না।

১৯৩) রান্না করার জন্য হলুদ ধার দেয়া যাবে না।

১৯৪) জামা গায়ে থাকা অবস্থায় সেলাই করলে অসুখ হয়।

১৯৫) মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকলে অসুখ হয়।

১৯৬) অষ্ট ধাতুর আংটি, বালা ব্যবহার করলে বাত/বাতজ্বর/রক্ত চাপ ইত্যাদি অসুখ ভাল হয়।

১৯৭) পিতা-মাতা, সন্তান, নেতা-নেত্রী, পীরের ছবি ঘরে রাখলে বরকত হয়।

১৯৮) ফরজ গোসল না করলে ঘরের কাজ করা যায় না।

১৯৯) মেয়ে সন্তানদের সম্পদের হিস্যা দেয়া জরুরী না, বিনা হিসাবে কিছু একটা দিলেই চলে।

২০০) আল্লাহ তালা নবী কে সৃষ্টি না করলে কোন মানুষ সৃষ্টি করতেন না।
২০০) আল্লাহ তালা নবী কে সৃষ্টি না করলে কোন মানুষ সৃষ্টি করতেন না।

২০১) হরিন ও নবীর কাহিনী, বরই কাটা বিছানো বুড়ি ও নবীর কাহিনী সত্য মনে করা।

২০২) নবী নূরে তৈরি, মাটির নয়।

২০৩) মানুষ মারা গেলে আকাশের তারা হয়ে যায়।

২০৪) মানুষ মরে ভুত হয়।

২০৫) কুকুর কামড়ে মানুষের পেটে কুকুরের বাচ্চা হয়।

২০৬) পেশাপ করে কুলুপ/টিসু ব্যবহা করতে হবে, শুধু পানি ব্যবহার চলবে না।

২০৭) পেশাপের পর কুলুপ ধরে চল্লিশ কদম না চললে নাপাকি যায় না।

২০৮) যাকাত হিসাব করা জরুরি না, বিনা হিসাবে দিলেও চলে।

২০৯) আপন বাপ জীবিত থাকলেও বিয়েতে অন্য মুরব্বিকে উকিল বাপ বানানো।

২১০) বিয়েতে গায়ে হলুদের আয়োজন করা।

২১১) সালাতে ইমামের ভুল হলে “সুবাহান্নাহ” না বলে “আল্লাহু আকবার” বলা।

২১২) ছোটরাই শুধু বড়দের সালাম দিবে, বড়রা দিবে না।

২১৩) পশ্চিম দিকে পা দিয়ে বসলে বা শুলে গুনা/বেয়াদবী হয় বা কবিরা গুনা হয়।

২১৪) মাজহাব মানা ফরজ।

২১৫) কদম বুসি বা পায়ে ধরে চুমা বা সালাম ইসলামী বিধান মনে করা।

২১৬) যৌতুক হালাল মনে করা।

২১৭) আবদুল কাদের জিলনী মায়ের পেটে ১৮ পাড়া কোরান মূখস্ত করেছেন।

২১৮) আইযুব নবীকে ১৮ বছর শরীরে পোকা কামড়িয়েছে।

২১৯) ইউসুফ নবী জুলেখার সাথে প্রেম করেছেন ও বিয়ে করেছেন।

২২০) নুহ নবীর নৌকায় মানুষ পায়খানা করেছে, এক বুড়ি সেখানে পড়ে বয়স কমেছে।

২২১) রাবেয়া বাসরী হজ্ব করছে মক্কা যেতে হয় নাই, কাবা তার সামনে হাজির হয়েছে।

২২২) গাউসে পাকের নাম জপিলে আল্লাহ পাওয়া যায়।(আসতাগফিরুল্লাহ)

২২৩) পীরের মুরিদ হলে নামাজ-রোজা লাগে না।ফানা ফিল্লাহ-এ পৌছে গেলে কিছু লাগে না।

২২৪) বড় পীর(!)আব্দুল কাদের জিলানী, মুসা নবীর ভুল ধরেছেন।

২২৫) পীর দেওয়ান বাগীর স্ত্রী হচ্ছেন নবীর মেয়ে ফাতেমা।

২২৬) পীরের তরিকায়-চোখের জলে অজু করি মনের কাবায় নামাজ পড়ি- সঠিক মনে করা

২২৭) পীরেরা কবরে জীবিত, তারা মুরিদদের বিপদে সাহায্য করে- বিশ্বাস করা।

২২৮) শরীর কেটে রক্ত পড়লে ওজু ভেঙ্গে যায়।

২২৯) বমি হলে অজু ভেঙ্গে যায়।

২৩০) ওজু থাকা অবস্থায় অজু করলে দশ গুন নেকী।

২৩১) মুসল্লির ওজুতে ক্রুটির কারনে ইমামের কেরাত ভুল হয়।

২৩২) মাথা নেড়া বা চুল খুব ছোট রাখা নেকির কাজ মনে করা।

২৩৩) মৃত স্বামীকে স্ত্রী বা স্ত্রীকে স্বামী দেখতে/ধরতে/গোসল দিতে পারবে না মনে করা।

২৩৪) মৃতের নখ, শরিরের বিভিন্ন স্থানের চুল পরিষ্কার করে দিতে হয়।

২৩৫) বিদ্যা অর্জনের জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও।

২৩৬) কারো মৃত্যুর পরে তার কাছের কারো বাচ্চা হলে মনে করা- মৃত ব্যাক্তি ফিরে এসেছে

২৩৭) বড় বিপদ থেকে ফিরে আসলে সোনা-রুপা ভেজান পানি দিয়ে গোসল করতে হয়।

২৩৮) মোমিন ব্যাক্তির অন্তর আল্লাহর আরস

২৩৯) প্রেম-ভালোবাসায় কোন পাপ নেই।

২৪০) সকালে গাড়ী চালানো শুরুর পূর্বে ড্রাইভারকে গাড়ীর স্টেয়ারিং হুইলে চুমা করতে হয়।

২৪১) পীরের নাম মনে করে গাড়ী চালালে বিপদ হয় না।

২৪২) হাশরের দিন পীরগন মুরিদের জন্য সাফায়াত করবে।

২৪৩) প্রত্যেক মুসলমানের জীবনে একবার চিল্লা দিতে হয়।

২৪৪) পীর-আউলিয়াগন মারেফত জানে।

* কুসংস্কার মানা, অপরকে মানতে বলা, মুরব্বিরা করেছেন তাই মানা – শিরক

ইসলামে কুসংস্কারের কোনো স্থান নেই। এই কুসংস্কারের জন্যই আল্লাহর ওপর আস্থা ও ধর্মবিশ্বাস এবং আল্লাহর প্রতি পরম নির্ভরতা বা তাওয়াক্কুল বহুলাংশে লোপ পায়।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন (অর্থ) রোগ লেগে যাওয়া, কুলক্ষণ, প্যাঁচা ও সফর-সবের কোনো বাস্তবতা নেই।
(বুখারি : ৫৭৫৭; মুসলিম : ৫৭৪৩)।

* কেউ যদি কোন আমল করে যার আদেশ রাসূল (সা:) করেননি, তা বাতিল।
(সহিহ মুসলিম ২য় খন্ড পৃ-৭৭)

আল্লাহ’তায়াল আমাদের যাবতীয় কুসংস্কার থেকে হেফাজতে রাখুন। আমীন

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর..
জনপ্রিয় পোস্ট
সর্বশেষ আপডেট